জ্যোতি আহমদ
তোমাকে দিতে পারিনা কিছুই
হরিদ্রা-বন শাড়ি, উলম্ব নাকের নথ
একটা নিরুপদ্রব রাত।
একঘর বনস্পতি কেটে নিয়েছে যুদ্ধকাল
বাংকার দীর্ঘ সাপের মতো শুয়ে আছে
পাহারা দিয়ে একাত্তরের বাড়ি
বলি না, ঘৃতকুমারীর বনে
সব ছিল অহিংস-সুন্দর
বলি না যে
শুভ্র ঘুড়ি উড়াতাম সীমাহীন মাঠে
ছেড়ে দিয়ে ডোর,
শুধু মনে আছে বালকের এই -
স্বপ্ন ছিল, সুশিক্ষিত একদল।
যাহাদের কোনোদিন দেখি নাই
ঢোলকলমির বনে, খেলার ছলে
আমাদের আহরিত কবিতা থেকে
তারা তুলে নিচ্ছে প্রভৃতি শব্দ
তাহাদের রাত নির্ঘুম নয় হঠাৎ ঝঞ্ঝাটে
বরং চমৎকার আছে
বিষয়-আশয়ে, বিশ্বাসে অটল।
তোমাকে দিতে পারি নাই
একটা মধ্যবিত্ত প্রতিশ্রুতি কিংবা
ছোট কাগজে ছাপা
আমার অনার্য কবিতা থেকে তুলে
শুধু তোমার জন্য উপযুক্ত কোনো পঙ্ক্তি।
সুচিত্রা সেনের মতো
হেঁটে যেতে যেতে এখন উধাও তোমার বয়স।
আব্বার কবরের পাশে শোবে বলে
প্রতীক্ষায় থাকে রক্তহীন বেদনার দেহ
তবু যখন রুগ্ন মুখ থেকে ঝলসে ওঠে
নতুন স্বপ্নের এক লাবণ্য -
আমি তার মানে জানি
সে মৃত্যু নয়।
>> পথিক ১৮
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন