খেলা
জান্নাতুন নাঈম প্রীতি
মন বললো- I paint objects as I think them, not as I see
them.- আমি?
আমি কে?
- মানুষ?
নাহ! মানুষ হলে তো আমাকে দেখতে পেতে!
- তাহলে?
আত্মা... পাউডার!
- মানে?
একটা নম্বর, পাউডার হয়ে যাওয়া নম্বর!
- কে তুমি?
জানি না- Forget what you were!
এমনটাই লেখা ছিলো সেই নরকের Reception- এ!
- সত্যিই বুঝিনি!
তোমার পূর্বপুরুষ! ডাকাউ কনসেনট্রেশান ক্যাম্পের ২২,৭৯৬ বলছি!
- তোমাদের কথা আমি জানি,পড়েছি; কিন্তু তোমরা তো মারা গেছো!
আমরা মরিনি! হিটলার ভেবেছিলো আমাদের মেরে ফেলেছে। বোনমিলের মেশিনগুলো আমাদের শরীরকে গুঁড়ো করেছে ঠিকই, আর সেই গুঁড়ো ছিটিয়েছে সে মাটিতে। কিন্তু সে তো জানে না, মেশিনের চাকা আত্মায় আঁচড় দিতে অক্ষম!
- আমি দুঃখিত...!
দুঃখ, দুঃখ কী?
দেয়ালের গায়ে লিখেছিলাম- Now it is our turn. They will take us away from here and kick us into the gas chamber. I suppose it must be so. সত্যিই তাই ঘটেছে, অলৌকিক কিছু ঘটানোর জন্য ঈশ্বর নেমে আসেননি সপ্তাকাশ ছেড়ে!
- আর তখন?
তখন গ্যাস চেম্বারে নেওয়া নিঃশ্বাস,
তখন বোনমিলে আমাদের হাড় গুঁড়ো হবার একটানা ঘ্যাসঘ্যাস শব্দ,
তখন আদিগন্ত বিস্তৃত একটা মাঠে আমাদের হাড়-মাংস-রক্তের মহোৎসব!
- আমার গা গুলাচ্ছে!
হাহা হা হাহা হা! ঘেন্না করছে?
- নাহ! কষ্ট হচ্ছে...অনেক কষ্ট।
আরও শুনতে চাও?
- চাই, তবে ভয় করছে...তারপর?
তারপর আমাদের গল্প
তারপর তাদের গল্প,
তারপর আর্তনাদের গল্প
তারপর ক্ষুধার গল্প,
তারপর যন্ত্রণার গল্প
তারপর কান্নাহীনতার গল্প,
তারপর ডেথমার্চের গল্প
তারপর বোনমিলের গল্প,
তারপর ক্রোধ- ব্যাথা- ক্রোধের গল্প
তারপর ঘৃণা, ঘৃণা এবং ঘৃণার গল্প,
তারপর আনাচে কানাচে কোটি কোটি মৃতদেহ,
তারপর আমার মৃত মা- বাবা- ভাই- বোন, গর্ভবতী স্ত্রীর গল্প;
তারপর তাদের রক্তের পুকুরে সেই ঘৃণ্য লোকটার সাঁতার কাটার গল্প!
তারপর লাশ- ধ্বংস- মৃত্যু- অপমৃত্যু- প্রতিমৃত্যু- লাশের গল্প,
একমাত্র ইহুদি হবার কারণে শুধুমাত্র মৃত্যুর গল্প!
- আমার বিষণœ হৃদয় দুমড়ে-মুচড়ে যেতে যেতে তাকে প্রশ্ন করলো- সব শেষে?
সব শেষে একমাত্র বেঁচে রইলো সত্য
সারা পৃথিবীর সমস্ত অসত্যের উপর হামাগুড়ি দিয়ে!
- আর তারপর?
তারপর সেই সত্যেরা একসঙ্গে ঘোষণা করলো- God does not play dice!
ঈশ্বর পাশা খেলেন না, নিয়তি নিয়ে খেলেন!
আমি কে?
- মানুষ?
নাহ! মানুষ হলে তো আমাকে দেখতে পেতে!
- তাহলে?
আত্মা... পাউডার!
- মানে?
একটা নম্বর, পাউডার হয়ে যাওয়া নম্বর!
- কে তুমি?
জানি না- Forget what you were!
এমনটাই লেখা ছিলো সেই নরকের Reception- এ!
- সত্যিই বুঝিনি!
তোমার পূর্বপুরুষ! ডাকাউ কনসেনট্রেশান ক্যাম্পের ২২,৭৯৬ বলছি!
- তোমাদের কথা আমি জানি,পড়েছি; কিন্তু তোমরা তো মারা গেছো!
আমরা মরিনি! হিটলার ভেবেছিলো আমাদের মেরে ফেলেছে। বোনমিলের মেশিনগুলো আমাদের শরীরকে গুঁড়ো করেছে ঠিকই, আর সেই গুঁড়ো ছিটিয়েছে সে মাটিতে। কিন্তু সে তো জানে না, মেশিনের চাকা আত্মায় আঁচড় দিতে অক্ষম!
- আমি দুঃখিত...!
দুঃখ, দুঃখ কী?
দেয়ালের গায়ে লিখেছিলাম- Now it is our turn. They will take us away from here and kick us into the gas chamber. I suppose it must be so. সত্যিই তাই ঘটেছে, অলৌকিক কিছু ঘটানোর জন্য ঈশ্বর নেমে আসেননি সপ্তাকাশ ছেড়ে!
- আর তখন?
তখন গ্যাস চেম্বারে নেওয়া নিঃশ্বাস,
তখন বোনমিলে আমাদের হাড় গুঁড়ো হবার একটানা ঘ্যাসঘ্যাস শব্দ,
তখন আদিগন্ত বিস্তৃত একটা মাঠে আমাদের হাড়-মাংস-রক্তের মহোৎসব!
- আমার গা গুলাচ্ছে!
হাহা হা হাহা হা! ঘেন্না করছে?
- নাহ! কষ্ট হচ্ছে...অনেক কষ্ট।
আরও শুনতে চাও?
- চাই, তবে ভয় করছে...তারপর?
তারপর আমাদের গল্প
তারপর তাদের গল্প,
তারপর আর্তনাদের গল্প
তারপর ক্ষুধার গল্প,
তারপর যন্ত্রণার গল্প
তারপর কান্নাহীনতার গল্প,
তারপর ডেথমার্চের গল্প
তারপর বোনমিলের গল্প,
তারপর ক্রোধ- ব্যাথা- ক্রোধের গল্প
তারপর ঘৃণা, ঘৃণা এবং ঘৃণার গল্প,
তারপর আনাচে কানাচে কোটি কোটি মৃতদেহ,
তারপর আমার মৃত মা- বাবা- ভাই- বোন, গর্ভবতী স্ত্রীর গল্প;
তারপর তাদের রক্তের পুকুরে সেই ঘৃণ্য লোকটার সাঁতার কাটার গল্প!
তারপর লাশ- ধ্বংস- মৃত্যু- অপমৃত্যু- প্রতিমৃত্যু- লাশের গল্প,
একমাত্র ইহুদি হবার কারণে শুধুমাত্র মৃত্যুর গল্প!
- আমার বিষণœ হৃদয় দুমড়ে-মুচড়ে যেতে যেতে তাকে প্রশ্ন করলো- সব শেষে?
সব শেষে একমাত্র বেঁচে রইলো সত্য
সারা পৃথিবীর সমস্ত অসত্যের উপর হামাগুড়ি দিয়ে!
- আর তারপর?
তারপর সেই সত্যেরা একসঙ্গে ঘোষণা করলো- God does not play dice!
ঈশ্বর পাশা খেলেন না, নিয়তি নিয়ে খেলেন!
Now you are
slaves.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন