শনিবার, ৬ নভেম্বর, ২০১০

কবিতা >> বৃক্ষ এবং শিমুলাশ্রু

বৃক্ষ এবং শিমুলাশ্রু

মনজুর মোহাম্মদ

হিউমাশ স্নেহের উষ্ণ চাদর ফাঁক করে
দু’ পলক তুলে -
ঘুম বীজ অঙ্কুরে জাগে শৈশব।
বিশ্বাসে ঠাহর জমিয়ে - স্মৃতিকে সাক্ষী করে
বেড়ে ওঠে নীরব থিম - তার দেহের ভেতর
বিরুৎ মলাটের শির ডিঙিয়ে
গুল্মতরুর কাঁধ ছুঁয়ে ফের -
দিনে দিনে ছাতাবাজ কেশের পাগড়ি
উঁচিয়ে ওঠে আপন কাঠামো পরিচয়ে -
মায়াবাজ ছায়াবাজ দানব মাথার চিরহরিৎ
বাতাসে আনন্দ বিলায় পাখি-পথিকের
সুখ সুখ বেলায়।
এই গল্পে
চির তারুণ্যের নায়ক বনা বৃক্ষ
বাবার প্রিয় বন্ধু ছিলো -
আমরাও সুরেলা দুপুরের শৌখিন সখ্যতায়
সাথী হয়ে
দেখেছি দেহের গলিতে জেগে ওঠা বিবর্তনের চর
হয়তো একইভাবে কালের স্রোতে আজ
মহাকালের বন্ধু...
জমানো আছে তার দেহে
ইতিহাসের জঘন্যতম নিষ্ঠুর স্মৃতির
এক পাণ্ডুলিপি
আপন দেহে নিয়ে ওজনের অনুভূতি
বাদুরঝোলা উদোম ত্বকে আঁকা সপাং সপাং
ডোরাকাটা শরীর তখন (ফুল রঙ-)
শিমুলত্বক অশ্রুর ফোয়ারা
যেনো ফলের স্বরূপ ঝুলে থাকা আদম ছাওয়াল
তারও শরীরের ক্ষতে লেখা সেই একাত্তর
নামে-ত্যাগের দলিল
এই ত্যাগের মূল্যই আমাদের স্বাধীনতা
...আর সেই থেকে অসংখ্য গল্পের
অধর স্রোত
কাঁকড়া দেহের বাতাসে ডিগবাজি খায়
গ্রামের পর গ্রাম।
কেবল কালের আড়ালে হারালো তার
মাটির ওম থেকে বীজ ঘুম পালানো
শৈশব

>> পথিক ১৮ 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন