কমরেড
পিন্টু রহমান
বাইরে পা রাখতেই এক ঝাঁক বেয়াড়া বাতাস তার সারা মুখে লুটিয়ে পড়ে; সেই সাথে বিশেষ এক ধরনের বায়ু তরঙ্গ। জমির আলীর মনটা তখন বিষাদে ভরে ওঠে। এই বাতাসটাও যেন অপয়া! পরতে পরতে শৃঙ্খল মুক্তির গান!
বাইরের পৃথিবীতে জমির আলীর নিজেকে বড় অসহায় মনে হয়, এর চাইতে জেলখানার চার দেয়ালের মধ্যেই বরং ভাল ছিল। একঘেয়ে জীবন; তবু হতাশাময় মুহূর্তে যখন লোহার শিক ধরে দাঁড়াতো তখন সম্মুখে দৃশ্যমান হয়ে উঠতো এক চিলতে আকাশ। ক্ষণভেদে তাতে কখনো মেঘ, কখনো জ্যোৎস্না, কখনো বা রৌদ্রের প্লাবন বইতো। অন্ধকার আকাশ তার ভাল লাগতো না। বুকের মধ্যে একরাশ শূন্যতার সৃষ্টি হতো। মনে হতো, এই বুঝি নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যাবে!
অথচ ওখানেই কেটে গেল জীবনের এতগুলো বছর। দিনগুলো নেহায়েত মন্দ কাটেনি; চরমপন্থীদের সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল। চলমান জীবনের অস্থিরতা সবাই মিলে ভাগ করে নিত। কারো অসুখ বিসুখ হলে তার রেশ পড়তো অন্য সবার মধ্যে। রাতদিন জেগে জেগে সেবাযতœ করতো।
জমির আলীর বিদায় মুহূর্তে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল। কান্নার আকাশে জমা হয়েছিল ঘন কালো মেঘ। তাকে জড়িয়ে ধরে অনেকে কান্নাকাটি করেছে। সে নিজেও খুব কেঁদেছে।
বুকের মধ্যে তখন তীব্র হাহাকার, স্বজন হারানোর ব্যথা; দু’ এক জনের পিঠ চাপড়ে জমির আলী সান্ত¡না দিয়েছে। ধৈর্য ধরার মন্ত্র শিখিয়েছে, আরে রশিদ মিয়া, ভয় কীসের; দেখতে দেখতে কখোন যে সময় গড়িয়ে যাবে বুঝতেই পারবে না!
রশিদ তবুও বিক্ষুব্ধ। নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ ছিল না। গলা ফুঁড়ে বাতাসের বুকে ঢেউ তুলেছে। আর যাই হোক, তাদের কাছে জমির আলী ছিল বটবৃক্ষের ছায়া। আড্ডাবাজ মানুষ; অবসর সময়ে জমিয়ে আড্ডা দিত, সুখ দুঃখের গল্প শুনাতো।
মালতী তার কেউ না- সামান্য একজন ঝাড়–দার; অথচ বিদায় পর্বে সেও এসেছিল। হাতে করে খাওয়াতে এনেছিল নিজের গাভীর দুধ। ঐ দুধ জমির আলীর গলা দিয়ে নামেনি। মালতীর চোখের মধ্যে হঠাৎই মা’র মুখখানা ভেসে উঠেছিল।
২৭ বছর ধরে কোনো সাক্ষাৎ নেই। একদিনের জন্যও খোঁজ নিতে আসেনি। ক্ষোভে দুঃখে বোধহয় ছেলের স্মৃতি মন থেকে মুছে ফেলেছে। মাথায় হাত বুলিয়ে মালতী আশির্বাদ করেছিল, ভাইরে, আজ থিকি তোর নোতুন জেবুন শুরু হলু আর যেন মাথা খারাপ করিসনি। বাবা-মার কোলে ফিরি যা, বিয়ে থা করি ঘর সংসারী হ।
জমির আলী এখন নিঃসঙ্গ, অনাহুত মেহমান, ঠিকানাবিহীন খাম। কমরেড শরিফ ডাক্তারের স্মৃতি মনের মধ্যে ওঠানামা করে। অনেকদিন আগে লেখা চিঠিখানা সাথেই আছে। নতুন করে আর একবার চোখ বুলায়-
‘কমরেড,
মাথা ঠা-া রাখবে সব সময়। তোমার ব্যাপারে হাই কমান্ডের অবশেষে টনক নড়েছে। তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে। আশা করি খুব শীঘ্রই বেরিয়ে আসবে। ততদিন তোমার বাবা মা আর ভিটেমাটি রক্ষার দায়িত্ব আমার। মোকিম গাজীকে আমরাই সামলাবো। আমাদের আন্দোলন বৃথা যাবে না। মেহনতি মানুষের জয় হবেই হবে।’
চিঠিটা পড়ে চোখের কোণে যে আলোর আভা ফুটেছিল উঠেছিল দপ করেই তা আবার নিভে যায়। চিঠিটা পুলিশের হাতে এলো কীভাবে; নাকি প্রতারণার নতুন কোনো ফাঁদ!
পরে কনস্টেবল নিজেই বিষয়টি পরিস্কার করে দিয়েছিল, ভয় নেই কমরেড; এখানেও তোমাদের লোকজন আছে।
কথাটা শুনে জমির আলী সেদিন তার হারানো আতœবিশ্বাস ফিরে পেয়েছিল। মনে হয়েছিল বেশিদিন হয়তো ভুগতে হবে না। তার আগেই কমরেডের ক্ষমতার পিঠে ভর করে মুক্ত বাতাসের স্বাদ নেবে। শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যোগ হবে নতুন মাত্রা। হয়তো ভুবনডাঙার মাটিতে একদিন মোকিম গাজীর বিচার হবে। প্রতিটি কৃষক শ্রমিক ফিরে পাবে তাদের নায্য অধিকার। কিন্তু তার স্বপ্নের ফানুস শাখা-প্রশাখা বিস্তার করতে পারে না, অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়। পুলিশের মুখে কিছুদিন পরে জানতে পারে, কমরেড শরিফ ডাক্তার আর নেই; দলের আভ্যন্তরীণ কোন্দলে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
শুধু শরিফ ডাক্তার নয়; জেলখানায় বসে আরো অনেক কমরেড হত্যার কথা শুনেছে। দল ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে।
এরকম আশঙ্কা জমির আলীর মনের মধ্যে আগে থেকেই উঁকিঝুঁকি দিয়েছিল। এর জন্য পার্টির কিছু নেতার নৈতিক অধঃপতনই দায়ী। মুখে সমাজতন্ত্রের কথা বললে হবে কী; মূলত তারা ছিল পুঁজিবাদের অন্ধ প্রতিভূ। বিলাসিতার স্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়েছিল কেউ-কেউ।
তাছাড়া দলের সদস্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোনো প্রকার বাছ-বিচার পর্যন্ত ছিল না। চারু মজুমদার কিংবা আবদুল হকের শ্লোগান মুখে নিয়ে ছ্যাচড়া চোর ডাকাত পর্যন্ত দলে ভিড়ে গিয়েছিল। দল ভাঙার ক্ষেত্রে এটা ছিল সাম্রাজ্যবাদীদের নীল নকশা।
তবু কোনো কোনো কমরেড হয়তো এখনো বিশ্বাস হারায়নি। মাঠে ময়দানে রয়ে গেছে। দুর্বল মুহূর্তে সুদিনের স্বপ্ন দেখে।
ভুবনডাঙার মাটিতে পা দিয়ে জমির আলী আরেক দফা অবাক হয়। এটাই কি সেই ভুবনডাঙ্গা! নিজের গ্রামটাকে চিনতে তার কষ্ট হয়। আগে দেখা দৃশ্যের সাথে কোনো মিল নেই। হারিয়ে গেছে দিগন্ত জোড়া মাঠ আর ঝোঁপঝাড়। সেখানে নির্মিত হয়েছে ঘিঞ্জি কুঁড়েঘর। প্রায় প্রতিদিনই এনজিও কর্মীগুলো বর্গীর মতো হানা দেয়। রক্তচোষা বাদুড়ের মতো নিরীহ মানুষকে শোষণ করে। কিস্তির টাকা শোধ করতে না পারলে ঘরের চালা, হালের বলদ পর্যন্ত খুলে নিয়ে যায়।
জমিরদের ভিটার উপর দাঁড়ালে চোখের সম্মুখে সোনা কান্দরের বিল ছবির মত ভেসে উঠতো। চারদিকে অথৈই জলরাশি। পানির উপর শাপলা শালুক আর কলমীলতার মেলা। সাদা শাপলাগুলো যেন অন্ধকার আকাশে নামহীন নক্ষত্র! গভীর রাতে ভেসে উঠতো কাউন পাখির ডুব, ডুব, ডুব শব্দ। উত্তরের বাতাসে মিশে থাকতো বুনো ফুলের গন্ধ।
শীতকালে বিলের পানি চারদিক থেকে গুটিয়ে প্রায় তলানিতে ঠেকতো। উপরে জমা হত দুধের সরের মত শ্যাওলার আস্তরণ। অথচ ঐ বিলের কোনো অস্তিত্বই আজ আর অবশিষ্ট নেই। সব ভরাট হয়ে গেছে।
পথের বাঁকে বাঁকে রকমারি দোকান ঘর। বাঁশের মাঁচানে প্রায় ১৫/২০ জন লোক, টিভিতে চলছে বাংলা সিনেমা। যে যার মতো ব্যস্ত; জমির আলীর প্রতি কারো কোনো ভ্রƒক্ষেপ নেই। বোধহয় চিনতে পারেনি। অবশ্য না চেনারই কথা! ২৭ বছর তো আর কম সময় নয়! মেঘে মেঘে অনেক বেলা গড়িয়েছে। খুলে গেছে শরীরের আঁটসাট বাঁধন। মুখভর্তি দাড়িগোঁফ। জমির আলী নিজেও কাউকে চিনতে পারে না।
পুরাতন স্কুল বিল্ডিঙের সামনে এসে মুহূর্তের জন্য তার পা দুটো থেমে যায়। এইখানে, ঠিক এইখানে পুলিশ তার হাতে পায়ে দড়ি বেঁধে মারধর করেছিল।
তার দুদিন আগে ভারতীয় সীমান্তে অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয়। জমির আলীকে সেদিন এক নজর দেখার জন্য হাজার হাজার জনতার ঢল নেমেছিল। গ্রামের বৌ-ঝিরাও ঘোমটার আড়ালে দেওয়ালের ওপার থেকে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছিল। তার করুণ চাহনি দেখে সবাই ব্যথিত। বাবা দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করলেও মা পারেনি। পুলিশের পা জড়িয়ে ধরে বিলাপ করেছিল, আমার বুকির মানিককে তুমরা আর মারুনা গো। ও যে মরি যাবেনে!
পুলিশের কাছে ঐ কান্না নিরর্থক; মূল্যহীন। ঘুরে ফিরে তাদের শুধু এক কথা, কোথায় কোথায় অস্ত্র আছে, বল শালা; তা না হলে জানে খতম করবো, কেউ বাঁচাতে পারবে না।
শরীর কেটে লেবুর রস দেওয়া, নাকের মধ্যে গরম পানি ঢালা, নখের মধ্যে সূচ ফোটানো... বহুমুখী সব অত্যাচার। জমির আলী তবু মুখ খোলেনি। শ্রমজীবী মানুষের কথা ভেবে নীরবে সব অত্যাচার হজম করেছে।
সেদিন ভিড় ঠেলে মোকিম গাজীও তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল। ইনিয়ে বিনিয়ে কী সব বলেছিল, হয় গো বাপ, কনে কনে অস্তরপাতি রয়িছে সব কয়ি ফেলো। তালি আমরা না হয় তুমার জন্যি ইট্টু চিষ্টা কত্তি পারি, কি কন দারোগা সাব?
দারোগা বাবু হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়ে।
- হ্যাঁ, উনি ঠিক বলেছেন। তুমি মুখ খোলো জমির আলী। প্রশাসনকে সাহায্য করো।
জমির আলী তথাপি মুখ খোলেনি। ঘাড় কাত করে মোকিম গাজীর চোখে চোখ রেখেছিল মাত্র- যে চোখে ছিল শুধু শিকারীর ইঙ্গিত।
এসব উপহাস সেদিন জমির আলীর বাপের সহ্য হয়নি, স্ত্রীর হাত ধরে টানতে টানতে স্থান ত্যাগ করেছিল।
- উর লাগি তুমি কান্দু না। ও শালা মানুষ নাকি, অমানুষ। তা না হলি আমার সাত পুরুষির মুখি চুনকালি মাকাতি পাত্তু না।
গ্রামের মধ্যে ঘুরে ঘুরে জমির আলী ক্লান্ত। শরীর দিয়ে ঘাম ছোটে। তবু নিজেদের ভিটেবাড়ি চিনতে পারে না। বারবার ভুল হয়। সাহস করে অল্প বয়সী একজন ছেলেকে কাছে ডাকে, এই যে, শুনছো?
ছেলেটি তার চারপাশে তাকায়। অন্য কাউকে দেখতে না পেয়ে জিজ্ঞেস করে, আমাকে ডাকছেন?
- হ্যাঁ। আচ্ছা, এখানে জমির আলীর বাড়িটা কোন দিকে?
নিজের নাম উচ্চারণ করতে গিয়ে জমির আলী বার কয়েক ঢোক গেলে। ছেলেটি খানিক ভেবে চিন্তে উত্তর দেয়, এই গ্রামে জমির আলী নামে কেউ থাকে না।
পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া মুরুব্বী গোছের অন্য একজনকে ছেলেটি ডাক দেয়। লাঠি ভর দিয়ে কাঁপতে কাঁপতে বৃদ্ধটি এগিয়ে আসে। বিরক্ত মুখে জমির আলীকে নিরীক্ষণ করে।
- আপনি কিডা গো; কনে আসিছূ?
বৃদ্ধ যখন জানতে পারে, সে জমির আলীর খোঁজে এসেছে- তখন খুবই বিস্মিত হয়। একদলা থুথু ফেলে আক্ষেপ করে, আর জমির আলী, তার কি কুনু খবর আচে! বাঁচি আচে নাকি মরি গিচে তাই বা কিডা জানে?
জীবনের এ এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা! বেঁচে থেকেও সে আজ মৃত। চেনাজানা মানুষের মন থেকে হারিয়ে গেছে।
বৃদ্ধের মুখে বাবা মার মৃত্যুর কথা শুনে জমির আলী চোখের জল সংবরণ করতে পারে না। শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো অসাড় হতে শুরু করে। বুঝতে পারে, কেন তারা দেখা করেনি; কেন খোঁজ খবর নেয়নি!
অনেকদিন আগের সেই মৃত্যুদৃশ্য বৃদ্ধ যেন অবিকল দেখতে পায়। থরে থরে সাজানো ছবির মতো পাতা উল্টায়।
- বুজলিগো ভাই, তকুন জাড়কাল। মানষির হৈ-চৈ শুনি নিশিরাতি ঘুম ভাঙি গেল। দেকি, সারা আকাশে আগুনির হলকা। ঘরডা হা হা করি জ্বলছে। আহা, অনেক চিষ্টা করিউ বুড়– বুড়িক বাইর করা গেল না। আগুনির মদ্দি পুড়ি মলু।
জমির আলীর শরীরের লোমগুলো শিউরে ওঠে। কিছুক্ষণ থেমে বৃদ্ধ পুনরায় বলতে শুরু করে, সপ ষড়যন্তর, কুন শালা বোদহয় আগুন ধরি দিছুলু। আইচ্ছা, উরা কি মানুষ; না পশু! মানুষ হলি কি এরাম কাজ কত্তি পাত্তু!
জমির আলীর মুখে টুঁ শব্দ নেই, ভাসা ভাসা চোখ।
- তা উরা তুমার কি হয় গো, কুটুম নাকি?
জমির আলী নিজের পরিচয় দিতে পারে না। এই সমাজে সে শিকড়বিহীন বৃক্ষ। যার কোনো কূল নেই, কিনারা নেই। তবু মনে হয় পোড়া ভিটার উপর গড়াগড়ি দিলে বুকের কষ্ট বোধহয় প্রশমিত হতো। বাবা মার কোমল স্পর্শ পাওয়া যেত। একটা পাকা দালান দেখিয়ে বৃদ্ধ বলে, উই যে, বিরাট একখান বাড়ি দেকা যাচ্ছে, ওকেনেই তাগেরে ভিটি ছিলু।
ভুবনডাঙার ঝোঁপেঝাড়ে যেভাবে জ্বোনাকি জ্বলতো, ঐ বাড়িটাতেও সেভাবে বিজলী বাতি জ্বলছে। সর্বাঙ্গে আভিজাত্যের ছোঁয়া। জমির আলী জিজ্ঞেস করে, ্ ঐ বাড়িটা তাহলে কার?
বৃদ্ধ লোকটি এক নিঃশ্বাসে উত্তর দেয়, ক্যান, আমাগো মোকিম গাজীর! জমির আলীর কাচ তি নাকি কিনি নিচে। পাকা দলিলও রয়িচে।
কথাটা জমির আলীর হৃদয়ের অতলান্তে বার বার প্রতিধ্বনিত হয়। চাবুকের মতো শপাং শপাং আঘাত হানে, তার রেশ ছড়িয়ে পড়ে রক্তের কণায় কণায়।
অনেক রাত পর্যন্ত গ্রামের শেষ মাথায় যে গোরস্থান আছে তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকে। মুখে কথা নেই; চোখে জলের ধারা। নিজের ভিতরে প্রচ- দহন। পরাজয়ের গ্লানি। সারাজীবন শোষনহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করেছে অথচ বাবা-মা’র নিরাপদ মৃত্যুর ব্যবস্থা করতে পারে নি! এই যন্ত্রণা হয়তো কোনো দিনই তাকে ক্ষমা করবে না। মোকিম গাজী, রশিদ, মালতী, কমরেড শরিফ অনেকগুলো মুখ জমির আলীর স্মৃতির আঙিনায় লাটিমের মতো ঘুরপাক খায়। কুয়াশার আস্তরণ মাড়িয়ে একটু একটু করে আকাশে রঙ ছড়াতে শুরু করে। জমির আলী আর অপেক্ষা করে না; ঘুম জড়ানো নয়নে পূব আকাশে চোখ মেলে তাকানো সূর্যের পানে ধীর পদক্ষেপে পা চালায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন