স্রোত ও রাতের বৃক্ষ
আবু মকসুদ
(আহমদ ময়েজ পৃথিবীর পৃষ্ঠায় হেঁটে চলা এক দুর্দান্ত পুরুষ)
গাছ মরেছে ভেবে মাড়িয়ে গেলে প্রবল তৃষ্ণায়, নদীজলের নিমিত্ত শিল্প দাঁড়িয়ে যায় তিমিরহরণে। নিরভিমান চাঁদ শরীরে লাগিয়ে, কাদামাটি বিভক্ত স্রোতেরা গড়ে দিতে চাইছে অজস্র উপকূল। রোদের আড়ত ছেড়ে বারান্দার সীমারেখা ধরে, আছন্ন আপন স্মৃতি পুড়ছে চোখের আরামে। প্রত্ন মধ্যযুগেও পাখি-ঘুম শেষে মানুষ পাড়ি দিতো গন্তব্যের ঢেউ-পাশায়, এই হেতু মিথ্যা নয়, যন্ত্র-সভ্যতায় ভালোবাসা ছুঁয়ে দেখে না চিতার হৃদয়। অপরূপ ভবিতব্য নির্মাণের দায়ে গাছের মৃতদেহ মেনে নেয় সময়ের স্খলন। তবু আলোর সলতেটি আগলে প্রত্ন মানুষ ক্লান্ত সূর্যকে পূজে অত্যুজ্জ্বল সকালের প্রত্যাশায়।
নেই কোনো মঙ্গল পূর্বাভাস, প্রত্ন মানুষেরা যাপিত জীবনে শস্য আকুলতায় করে যায় মৃত্তিকা কর্ষণ। খড়মাটি দিয়ে গড়া মানুষটি সময়ের স্নায়ুর চাপে কখনো হয়ে উঠে উচ্চাকাক্সক্ষী ভেড়া, নিয়তির ছোবলে সে মূর্ছা গেলে অন্তর্গত বেদনার ধ্বনির মতো নেমে আসে অনিবার্য রাত। এমন রাতে মানুষ করে না নিশুতি-বিলাস।
জলের স্রোতে মানুষ ভাসায় ঈশ্বর, এ এক মজার খেলা, এমন খেলায় এখন মানুষকেও পারদর্শী হতে হবে।
লন্ডন, যুক্তরাজ্য
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন