মাখরাজ খান
আমার একটা মজ্জাগত অভ্যাস আছে। তা হলো আমি পেট পুরে খাই আর শুলেই মরার মতো ঘুমিয়ে পড়ি। এজন্য লেখাপড়াও করতে পারিনি। চেহারা মোটামুটি চলনসই বলে বিনে পুঁজির ব্যবসা ‘শো ম্যান’ বিজনেসে নেমেছিলাম। সার্কাসের ক্লাউন - এখন আমি পেশাদার ‘শো ম্যান’। বিভিন্ন সময়ে আমাকে দামি এবং চটকদার পোশাক পরতে হয়। রাস্তায় বেরোলেই লোকজন আমার দিকে চেয়ে থাকে - এ গর্ব আমার বরাবরই।
শীতকালে সাধারণত, ইটালিয়ান মার্কেট থেকে কেনা জ্যাকেট পরতে হয়। এ জঞ্জাল অবশ্য আমার ভালো লাগে না। তবু ইমেজ ধরে রাখার জন্য রাজহাঁস সেজে রাস্তায় বেরোতে হয়। চোর বোধহয় আমার এই অদ্ভুত চটকদার পোশাক দেখেই পিছু নিয়েছিলো। এই পোশাক তার চোখ ঝলসে দিয়েছিলো। চোর মনে করেছিলো, আমি কোনো রাজ্যহারা মোঘল সম্রাটের বংশধর। কালের করাল গতিতে সিংহাসন হারিয়েছি; কিন্তু বিত্তহীন হইনি। আর বিত্তবান লোক ছাড়া আর কে এই দুর্দিনে পালকের জ্যাকেট, চিত্রল ওভার কোট আর চামড়ার ক্যাপ পরতে পারেন? কিন্তু তার হয়তো জানা ছিলো না যে, আমি এক কক্ষ বিশিষ্ট একটি দালানে বাস করি। আমার ঘরে আসবাবপত্র তো দূরের কথা, চোর পেটাবার জন্য একটা লাঠিও নেই। একটা ক্যাম্প খাটের উপর মাদুর বিছিয়ে লেপ কম্বল ছাড়া স্বামী-স্ত্রী পড়ে থাকি। শীতের সময় আমরা সমস্ত পরিধেয় গায়ে জড়িয়ে নিই। আমার স্ত্রী তার শাড়ি, ট্রাউজার আর গাউন পেঁচিয়ে শুয়ে পড়ে।
রাতে আমাদের এই অবস্থা দেখলে নিশ্চয় মহাশূন্য যাত্রী বলে ভুল করবেন আপনারা। কিন্তু তবু ভীষণ শীত লাগে। স্ত্রীর মোজাও ছিঁড়ে গেছে কয়েক দিন আগে, কী যে কষ্টে আছি!
এভাবে যখন কষ্টেশিষ্টে দিন কাটাচ্ছি, সেই শনিগ্রস্ত সময়েই এক রাত্রিতে আমার ঘরে চোর ঢুকলো। শুলেই ঘুমিয়ে পড়ি বলে প্রথমে বুঝতে পারিনি। সবেমাত্র আমি ঘরের দক্ষিণ পাশে খাটটা এনে শোবার আয়োজন করছি। তখনি বুঝতে পারলাম যে ঘরে চোর ঢুকেছে। খাটটাকে অবশ্য সরানোর প্রয়োজন হতো না, যদি কিছুক্ষণ আগে বৃষ্টি না হতো। বৃষ্টি হলেই ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে ঠিক খাটের উপর। তাই খাটটা সরানোর প্রয়োজন ছিলো। আমার স্ত্রী এমন কুম্ভকর্ণ যে, তাকেসুদ্ধ খাটটা কয়েক হাত টেনে আনার পরও নাক ঢাকতে লাগলো। আমি চোর ঘরে আছে জেনে তাড়াতাড়ি স্ত্রীর পাশে শুয়ে পড়লাম। ভাবলাম চোরকে ধরতে গেলে সে আঘাত করে রক্তাক্ত ছুরি ফেলে পালিয়ে যাবে।
কেনো ভয়ঙ্কর ঝুঁকি নিতে যাবো আমি? শুয়ে পড়ার একটু পরে সে আমার গায়ের কাপড় ধরে টানাটানি করতে লাগলো। গা থেকে অবশ্য খুলতে পারলো না কিছুই। কারণ শোবার সময় কাপড়গুলো ভালোভাবে গায়ে জড়িয়ে শুয়েছিলাম। আমার জুতা ছিলো মাথার নিচে। বালিশ না থাকার দরুণ জুতা মাথার নিচে রেখেই ঘুমাতাম আমি। সেই জুতা ধরে কয়েকবার টানাটানি করলো সে; কিন্তু নিতে পারলো না।
এরপর ঘরের উত্তর কোণের দিকে সে পা টিপে টিপে যেতে লাগলো। ওখানে আমি চালের ভাণ্ড রেখেছিলাম - এই একটিমাত্র জিনিস যা আমার বিছানার বাইরে রেখেছিলাম। চোর ভাণ্ডের কাছে গিয়ে দু’ হাতে ধরে কয়েকবার উঠাতে চেষ্টা করলো; কিন্তু পারলো না। আমি এক বন্ধুর কাছ থেকে চল্লিশ কেজি চাল ধারে কিনেছিলাম। পাত্রে রাখার পর এর ওজন হয়েছে এক শ’ কেজি। কারণ চিনেমাটির দশাসই পাত্রটির ওজনই ষাট কেজি। আমি ভাবলাম এক শ’ কেজির পাত্র তার পক্ষে বয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আর যদি দাঁত মুখ খিঁচিয়ে নিয়েও যায়, এত রাতে রাস্তার মধ্যে পুলিশের হাতে নির্ঘাত অ্যারেস্ট হতে হবে।
আমাদের দেশের চোরদের মধ্যে একটা কুসংস্কার আছে, তারা বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় খালি হাতে বের হয় না। তাদের ধারণা, খালি হাতে বেরোলে ভাগ্যে কিছুই জুটবে না। খালি হাতেই ফিরতে হবে। আমি মনে করলাম নিদেন পক্ষে সে একটা তোয়ালে নিয়ে এসেছে এবং তাতে করেই হয়তো কয়েক কেজি চাল নিয়ে যাবে। সে যে একটা নকশা করা চটকদার কুমিল্লার চাদর গায়ে দিয়ে এসেছিলো তা আমার ভাঙা জানালা দিয়ে তার গায়ের উপর আলো পড়া সত্ত্বেও লক্ষ করিনি।
চোর চালের ভাণ্ড’র কাছে গেলো। এবং কোমরে হাত দিয়ে সিনেমার ভিলেনের মতো কী যেনো ভাবলো কিছুক্ষণ। চোরেরা সাংঘাতিক নিষ্ঠুর! ঐ সময় কিছু বললে-আমাকে কুপিয়ে কাবাব বানিয়ে ফেলবে ভেবে চুপ করে রইলাম। চোর মেঝেতে তার নকশাদার চাদরটি বিছিয়ে দিলো, আমি ভাবলাম এই একটা বিরাট সুযোগ। এই সুযোগ আমার হাতছাড়া করা উচিত নয়। আর মনে মনে ভাবলাম, চোর তুমি যতো বড় মাস্টারই হও; এখানে মাস্টারি করতে পারবে না।
সে চালের ভাণ্ডটি গড়িয়ে গড়িয়ে চাদরের দিকে আনতে লাগলো, আর আমি মেঝে থেকে তার চাদরের কোণ ধরে খাটের দিকে টানতে লাগলাম। যেখানে সে চাদরটি বিছিয়েছিলো, সেখানেই চালের ভান্ডটি এনে উপুড় করে ঢেলে দিলো। আমি চাদরটি আমার পিঠের নিচে রেখে শুয়ে পড়লাম। আমি নিশ্চিত ছিলাম যে, সে চাল নিতে পারবে না। রান্নার সময় চালগুলো একটু ধুয়ে নিতে হবে, এই যা! এরপর খালি ভাণ্ডটি সে যেখান থেকে এনেছিলো সেখানে রেখে দিলো। এরপর চালের কাছে ফিরে এসে চাদরের সন্ধান করতে লাগলো। অপেক্ষাকৃত ক্ষীণ কণ্ঠে বলতে লাগলো - ‘ওবো, দশ, বিশ, ত্রিশ, চল্লিশ, পঞ্চাশ, ষাট, সত্তুর, আশি, নব্বুই, শ’। শ’, নব্বুই, আশি, সত্তুর, ষাট, পঞ্চাশ, চল্লিশ, ত্রিশ, বিশ, দশ, ওবো। আমি কি ভুল করে চালগুলো মেঝেতে ঢেলে ফেললাম?’ সে চালের কাছে হাঁটু গেঁড়ে বসলো এবং আরো সতর্কতার সাথে চাদরটি খুঁজতে লাগলো।
: ‘হায়!’ মনে হলো কী যেনো তাকে আঘাত করেছে।
: ‘কী জুলুমের মধ্যে পড়লাম।’ কথাটা বোধহয় একটু উচ্চস্বরে হয়েছিলো। তাই আমার স্ত্রীর ঘুম ভেঙে গেলো। সে আমাকে বলতে লাগলো -
শীতকালে সাধারণত, ইটালিয়ান মার্কেট থেকে কেনা জ্যাকেট পরতে হয়। এ জঞ্জাল অবশ্য আমার ভালো লাগে না। তবু ইমেজ ধরে রাখার জন্য রাজহাঁস সেজে রাস্তায় বেরোতে হয়। চোর বোধহয় আমার এই অদ্ভুত চটকদার পোশাক দেখেই পিছু নিয়েছিলো। এই পোশাক তার চোখ ঝলসে দিয়েছিলো। চোর মনে করেছিলো, আমি কোনো রাজ্যহারা মোঘল সম্রাটের বংশধর। কালের করাল গতিতে সিংহাসন হারিয়েছি; কিন্তু বিত্তহীন হইনি। আর বিত্তবান লোক ছাড়া আর কে এই দুর্দিনে পালকের জ্যাকেট, চিত্রল ওভার কোট আর চামড়ার ক্যাপ পরতে পারেন? কিন্তু তার হয়তো জানা ছিলো না যে, আমি এক কক্ষ বিশিষ্ট একটি দালানে বাস করি। আমার ঘরে আসবাবপত্র তো দূরের কথা, চোর পেটাবার জন্য একটা লাঠিও নেই। একটা ক্যাম্প খাটের উপর মাদুর বিছিয়ে লেপ কম্বল ছাড়া স্বামী-স্ত্রী পড়ে থাকি। শীতের সময় আমরা সমস্ত পরিধেয় গায়ে জড়িয়ে নিই। আমার স্ত্রী তার শাড়ি, ট্রাউজার আর গাউন পেঁচিয়ে শুয়ে পড়ে।
রাতে আমাদের এই অবস্থা দেখলে নিশ্চয় মহাশূন্য যাত্রী বলে ভুল করবেন আপনারা। কিন্তু তবু ভীষণ শীত লাগে। স্ত্রীর মোজাও ছিঁড়ে গেছে কয়েক দিন আগে, কী যে কষ্টে আছি!
এভাবে যখন কষ্টেশিষ্টে দিন কাটাচ্ছি, সেই শনিগ্রস্ত সময়েই এক রাত্রিতে আমার ঘরে চোর ঢুকলো। শুলেই ঘুমিয়ে পড়ি বলে প্রথমে বুঝতে পারিনি। সবেমাত্র আমি ঘরের দক্ষিণ পাশে খাটটা এনে শোবার আয়োজন করছি। তখনি বুঝতে পারলাম যে ঘরে চোর ঢুকেছে। খাটটাকে অবশ্য সরানোর প্রয়োজন হতো না, যদি কিছুক্ষণ আগে বৃষ্টি না হতো। বৃষ্টি হলেই ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে ঠিক খাটের উপর। তাই খাটটা সরানোর প্রয়োজন ছিলো। আমার স্ত্রী এমন কুম্ভকর্ণ যে, তাকেসুদ্ধ খাটটা কয়েক হাত টেনে আনার পরও নাক ঢাকতে লাগলো। আমি চোর ঘরে আছে জেনে তাড়াতাড়ি স্ত্রীর পাশে শুয়ে পড়লাম। ভাবলাম চোরকে ধরতে গেলে সে আঘাত করে রক্তাক্ত ছুরি ফেলে পালিয়ে যাবে।
কেনো ভয়ঙ্কর ঝুঁকি নিতে যাবো আমি? শুয়ে পড়ার একটু পরে সে আমার গায়ের কাপড় ধরে টানাটানি করতে লাগলো। গা থেকে অবশ্য খুলতে পারলো না কিছুই। কারণ শোবার সময় কাপড়গুলো ভালোভাবে গায়ে জড়িয়ে শুয়েছিলাম। আমার জুতা ছিলো মাথার নিচে। বালিশ না থাকার দরুণ জুতা মাথার নিচে রেখেই ঘুমাতাম আমি। সেই জুতা ধরে কয়েকবার টানাটানি করলো সে; কিন্তু নিতে পারলো না।
এরপর ঘরের উত্তর কোণের দিকে সে পা টিপে টিপে যেতে লাগলো। ওখানে আমি চালের ভাণ্ড রেখেছিলাম - এই একটিমাত্র জিনিস যা আমার বিছানার বাইরে রেখেছিলাম। চোর ভাণ্ডের কাছে গিয়ে দু’ হাতে ধরে কয়েকবার উঠাতে চেষ্টা করলো; কিন্তু পারলো না। আমি এক বন্ধুর কাছ থেকে চল্লিশ কেজি চাল ধারে কিনেছিলাম। পাত্রে রাখার পর এর ওজন হয়েছে এক শ’ কেজি। কারণ চিনেমাটির দশাসই পাত্রটির ওজনই ষাট কেজি। আমি ভাবলাম এক শ’ কেজির পাত্র তার পক্ষে বয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আর যদি দাঁত মুখ খিঁচিয়ে নিয়েও যায়, এত রাতে রাস্তার মধ্যে পুলিশের হাতে নির্ঘাত অ্যারেস্ট হতে হবে।
আমাদের দেশের চোরদের মধ্যে একটা কুসংস্কার আছে, তারা বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় খালি হাতে বের হয় না। তাদের ধারণা, খালি হাতে বেরোলে ভাগ্যে কিছুই জুটবে না। খালি হাতেই ফিরতে হবে। আমি মনে করলাম নিদেন পক্ষে সে একটা তোয়ালে নিয়ে এসেছে এবং তাতে করেই হয়তো কয়েক কেজি চাল নিয়ে যাবে। সে যে একটা নকশা করা চটকদার কুমিল্লার চাদর গায়ে দিয়ে এসেছিলো তা আমার ভাঙা জানালা দিয়ে তার গায়ের উপর আলো পড়া সত্ত্বেও লক্ষ করিনি।
চোর চালের ভাণ্ড’র কাছে গেলো। এবং কোমরে হাত দিয়ে সিনেমার ভিলেনের মতো কী যেনো ভাবলো কিছুক্ষণ। চোরেরা সাংঘাতিক নিষ্ঠুর! ঐ সময় কিছু বললে-আমাকে কুপিয়ে কাবাব বানিয়ে ফেলবে ভেবে চুপ করে রইলাম। চোর মেঝেতে তার নকশাদার চাদরটি বিছিয়ে দিলো, আমি ভাবলাম এই একটা বিরাট সুযোগ। এই সুযোগ আমার হাতছাড়া করা উচিত নয়। আর মনে মনে ভাবলাম, চোর তুমি যতো বড় মাস্টারই হও; এখানে মাস্টারি করতে পারবে না।
সে চালের ভাণ্ডটি গড়িয়ে গড়িয়ে চাদরের দিকে আনতে লাগলো, আর আমি মেঝে থেকে তার চাদরের কোণ ধরে খাটের দিকে টানতে লাগলাম। যেখানে সে চাদরটি বিছিয়েছিলো, সেখানেই চালের ভান্ডটি এনে উপুড় করে ঢেলে দিলো। আমি চাদরটি আমার পিঠের নিচে রেখে শুয়ে পড়লাম। আমি নিশ্চিত ছিলাম যে, সে চাল নিতে পারবে না। রান্নার সময় চালগুলো একটু ধুয়ে নিতে হবে, এই যা! এরপর খালি ভাণ্ডটি সে যেখান থেকে এনেছিলো সেখানে রেখে দিলো। এরপর চালের কাছে ফিরে এসে চাদরের সন্ধান করতে লাগলো। অপেক্ষাকৃত ক্ষীণ কণ্ঠে বলতে লাগলো - ‘ওবো, দশ, বিশ, ত্রিশ, চল্লিশ, পঞ্চাশ, ষাট, সত্তুর, আশি, নব্বুই, শ’। শ’, নব্বুই, আশি, সত্তুর, ষাট, পঞ্চাশ, চল্লিশ, ত্রিশ, বিশ, দশ, ওবো। আমি কি ভুল করে চালগুলো মেঝেতে ঢেলে ফেললাম?’ সে চালের কাছে হাঁটু গেঁড়ে বসলো এবং আরো সতর্কতার সাথে চাদরটি খুঁজতে লাগলো।
: ‘হায়!’ মনে হলো কী যেনো তাকে আঘাত করেছে।
: ‘কী জুলুমের মধ্যে পড়লাম।’ কথাটা বোধহয় একটু উচ্চস্বরে হয়েছিলো। তাই আমার স্ত্রীর ঘুম ভেঙে গেলো। সে আমাকে বলতে লাগলো -
: ‘কে জুলুমের মধ্যে পড়লো? আমি কি তোমার সাথে জুলুম করেছি? আমাকে এমন কথা তুমি বলতে পারলে!’ এই বলে সে কান্না জুড়ে দিলো।
আমি বললাম -
: ‘চুপ করো! আমি কিছু বলিনি। ঘরে চোর ঢুকেছে।’ এই কথা শোনার পর জোড়া পায়ে আমার স্ত্রী লাথি মারলো।
আমি কৃত্রিম হাই তুলে বললাম -
আমি বললাম -
: ‘চুপ করো! আমি কিছু বলিনি। ঘরে চোর ঢুকেছে।’ এই কথা শোনার পর জোড়া পায়ে আমার স্ত্রী লাথি মারলো।
আমি কৃত্রিম হাই তুলে বললাম -
: ‘ঘুমাও, কোনো চোর ঢুকেনি।’
এই সময় যেনো ঘরের মধ্যে বজ্রপাত হলো। চোর আহত বাঘের মতো গর্জন করে বললো -
এই সময় যেনো ঘরের মধ্যে বজ্রপাত হলো। চোর আহত বাঘের মতো গর্জন করে বললো -
: ‘ঘরে চোর ঢুকেনি বলছো! তাহলে কে - কে আমার এতো সুন্দর চাদরটি নিলো?
(চীনা গল্পের ছায়া অবলম্বনে)
>> পথিক ১৮
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন