রবিবার, ৭ নভেম্বর, ২০১০

কবিতা >> তুমুল তেত্রিশে : সুমন আখন্দ

তুমুল তেত্রিশে

সুমন আখন্দ

তেত্রিশের জানালা দারুণ ঝলমল রোদে
শোধে সোচ্চার আমি এক স্বৈরাচারী
পারি চোখের চূড়ায় পাহাড়ের মতো তুলে দিতে দেয়াল
আল বেঁধে দিতে পারি কামনার জমিতে
শীতে শিথিল গ্রীষ্মে গরল হতে হয় শিখেছি
লিখেছি যা জোছনা হয়নি, হয়েছে অন্ধকার
কার বাড়িতে মধু নিয়ে হাজির মৌমাছির ঝাঁক
বাঁক নিয়ে কোন উঠোনে গেল যৌবনের নদী?
যদি জানতেই না পারি, কি লাভ কানঅলা হয়ে!
ক্ষয়ে গেলেও লোহাকে মেনে নেয়
নেয় এবং গড়ে দেয় নতুন শরীর লৌহপিতা কামার
আমার ডান অনামিকায় এক জন্মতিল
তিল তিল করে জমিয়েছে কালো
ভালো তাই ভয় দেখাতে আসে না।
সে না আসলেও দরজা কিন্তু খোলা
ঝোলা নিয়ে ওড়ে হরবোলা পাখি! পাখির বয়স তেত্রিশ
ত্রিশ বাদ দিলে যে তিন থাকে তা নিয়েই ত্রিমিতি
সিঁথি হয় না চুলে- আগুন লাগে ছুঁলে
খুলে যায় জট পাকায় অমনি
রমণী, কোনো রমণী যদি জোরপূর্বক শোয় আমার সাথে
হাতে হাত রেখে বৃষ্টিতে ভিজে!
নিজে নিজে হয়ে উঠি নিরাকার
কার বিধাতা হবো? না কি
বাকি জীবন এভাবে
অভাবে অভাবে
যাবে!

>> পথিক ১৮

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন