অনন্ত নিগার
প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ও খ্যাতিমান বিজ্ঞানী শওকত হোসেন, কোয়ান্টাম বলবিদ্যার উপর যার তৈরি কিছু থিসিস পেপার আমেরিকান কয়েকটি নামকরা জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিলো এবং চারটি মৌলিক বলের মধ্যে তিনটি মৌলিক বলকে একত্রীভূত করার সম্ভাব্য তত্ত্ব যিনি তৈরি করেছিলেন, তিনি কেন তাঁর জীবনের অবশিষ্টাংশটুকু মাতৃভূমি বাংলাদেশের একটি অজপাড়া গ্রাম রসূলপুরে কাটিয়েছিলেন, তা অনেকের কাছে পরিষ্কার নয়। সে যাই হোক, জীবনের একেবারে অন্তিম পর্যায়ে এসে অস্ত যাবার আগ মুহুর্তে শওকত সাহেব তাঁর ব্যক্তিগত ডায়েরিতে যে নিজস্ব ভাবধারায় জীবনের প্রবাহমান বিভিন্ন বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলো লিখে রেখেছিলেন তারই উল্লেখযোগ্য শেষাংশটুকু নিচে পেশ করা হলো:
‘.... অতঃপর আমি সিদ্ধান্তে উপনীত হইলাম যে, য়্যূরোপের চাকচিক্য আর গতিময় জীবন কিংবা যান্ত্রিক জীবন আমাকে উদ্বেলিত করিতে পারে নাই। টগবগে যৌবনে যে দুর্বার প্রেরণা আর উদ্দীপনা নিয়া শহরে পদার্পন করিয়াছিলাম, শহরে থাকাবস্থায়ই অনুধাবন করিয়াছিলাম উহা ক্রমশঃ স্থিমিত হইয়া আসিতেছে। অতঃপর প্রথম শ্রেণীতে পোস্ট গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করিয়া যখন জ্ঞানের পরিধি বাড়াইবার নিমিত্তে উচ্চতর ডিগ্রী লইবার তাগিদে বিলেতে পাড়ি জমাইয়াছিলাম, প্রথমতঃ বিলেতের চাকচিক্যের মোহ আমাকে কিছুটা আবেশিত করিয়া রাখিলেও আস্তে আস্তে তাহা উবিয়া গেল। গবেষণা সম্পন্ন করিয়া বিগত কয়েক বছর ধরিয়াই দেশ মাতৃকার প্রতি, আমার জন্মস্থান রসূলপুরের প্রতি যে অমোঘ আকর্ষণ অনুভব করিতে লাগিলাম তাহাই আমাকে শেষ পর্যন্ত জন্মভূমিতে সজোরে লইয়া আসিল।
য়্যূরোপের যে চাকচিক্যময় জীবন তাহা খুবই আকর্ষণীয়, তাহা যে কোন টগবগে যৌবনের অধিকারীকে মোহান্বিত করিয়া রাখিবে। কিন্তু আমি থাকিতে পারিলাম না, কারণ য়্যুরোপের ঐ যান্ত্রিক জীবন ক্রমশঃ আমাকে উদ্বিগ্ন করিয়া তুলিতেছিলো । মানুষগুলো যেভাবে যন্ত্রের দিকে ঝুঁকিয়া পড়িতেছে, তাহা খুবই আশংকাজনক। মানুষ যতোই যন্ত্রনির্ভর হইবে, ততই তাহার মধ্য হইতে শারীরিক ও স্বাভাবিক ক্ষমতা লোপ পাইতে থাকিবে।
যন্ত্র কী? যন্ত্র হইতেছে এমন একটি কৃত্রিম বস্তু, যাহা প্রকৃতির প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে প্রকৃতির সহিত পাল্লা দিবার প্রয়াস পায়। কিন্তু ইহা খুবই সুস্পষ্ট যে, প্রকৃতির সহিত যাহা পাল্লা দিতে চেষ্টা করিবে কিংবা যাহা প্রকৃতির সহিত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত হইবে, প্রকৃতি উহাকে ক্রমশঃ ধ্বংস করিয়া ফেলিবে। তদুপরি, মানুষ যতোই দিন দিন যান্ত্রিক হইয়া উঠিবে, প্রকৃতি ততই মানুষকে ধ্বংসের দিকে ঠেলিয়া দিবে। তাই বর্তমান প্রজন্মকে শারীরিকভাবে ক্রমশঃ দুর্বল বলিয়া প্রতীয়মান হইতেছে।
মানুষ তাহার সমস্যার মোকাবিলায় কিংবা চাহিদা মিটাইবার তাগিদে যন্ত্র তৈয়ার করিতেছে। চাহিদা কে তৈয়ার করিতেছে? প্রকৃতি করিতেছে। তাহা হইলে প্রশ্ন উত্থিত হইবে, সৃষ্টির পরিকল্পনা কী?
আমি আমার পিতৃভূমিতে আসিয়া, এ যাবত পৃথিবীর সবচাইতে আধ্যাত্মিক ও খ্যাতিমান গ্রন্থ কোরান নিয়া বেশ মনোযোগ সহকারে পড়াশুনা করিয়াছি। উহা পড়িয়া অনুধাবন করিলাম, ‘আসমাউল হুসনা’ কিংবা স্রষ্টার সুন্দর নাম অথবা গুণসমূহের মধ্যে ‘কামেল’ গুণটি স্রষ্টার মধ্যে আছে। অর্থাৎ স্রষ্টা পরিপূর্ণ; কামেল ছাড়া বাকী আটানব্বইটি গুণ মানুষের মধ্যে আছে। এতে অনুধাবন করা যায় মানুষ সব গুণাবলীর অধিকারী কিন্তু মানুষ পূর্ণ হইতে পারিবে না। মানুষ যতই পূর্ণতার দিকে যাইতে থাকিবে, ধ্বংসও ক্রমশঃ তাহার দিকে ধাবিয়া আসিবে।
আমি এইসব লইয়া ভাবিতে চাহি না। ভাবিতে চাহি না যন্ত্রকে লইয়া। আমি মাটির মানুষ। উদ্ভিদ যেমন ভূমি উদগীরণ করিয়া সবুজ হইয়া বাহির হয় আমিও তেমনি মাটি ভেদ করিয়া সবুজের ন্যায় মাথা উঁচাইবার চাই। আমি চাই নরম একটি জীবন, সরল একটি জীবন, যে জীবন মাটির ন্যায় মৌলিক।’
‘.... অতঃপর আমি সিদ্ধান্তে উপনীত হইলাম যে, য়্যূরোপের চাকচিক্য আর গতিময় জীবন কিংবা যান্ত্রিক জীবন আমাকে উদ্বেলিত করিতে পারে নাই। টগবগে যৌবনে যে দুর্বার প্রেরণা আর উদ্দীপনা নিয়া শহরে পদার্পন করিয়াছিলাম, শহরে থাকাবস্থায়ই অনুধাবন করিয়াছিলাম উহা ক্রমশঃ স্থিমিত হইয়া আসিতেছে। অতঃপর প্রথম শ্রেণীতে পোস্ট গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করিয়া যখন জ্ঞানের পরিধি বাড়াইবার নিমিত্তে উচ্চতর ডিগ্রী লইবার তাগিদে বিলেতে পাড়ি জমাইয়াছিলাম, প্রথমতঃ বিলেতের চাকচিক্যের মোহ আমাকে কিছুটা আবেশিত করিয়া রাখিলেও আস্তে আস্তে তাহা উবিয়া গেল। গবেষণা সম্পন্ন করিয়া বিগত কয়েক বছর ধরিয়াই দেশ মাতৃকার প্রতি, আমার জন্মস্থান রসূলপুরের প্রতি যে অমোঘ আকর্ষণ অনুভব করিতে লাগিলাম তাহাই আমাকে শেষ পর্যন্ত জন্মভূমিতে সজোরে লইয়া আসিল।
য়্যূরোপের যে চাকচিক্যময় জীবন তাহা খুবই আকর্ষণীয়, তাহা যে কোন টগবগে যৌবনের অধিকারীকে মোহান্বিত করিয়া রাখিবে। কিন্তু আমি থাকিতে পারিলাম না, কারণ য়্যুরোপের ঐ যান্ত্রিক জীবন ক্রমশঃ আমাকে উদ্বিগ্ন করিয়া তুলিতেছিলো । মানুষগুলো যেভাবে যন্ত্রের দিকে ঝুঁকিয়া পড়িতেছে, তাহা খুবই আশংকাজনক। মানুষ যতোই যন্ত্রনির্ভর হইবে, ততই তাহার মধ্য হইতে শারীরিক ও স্বাভাবিক ক্ষমতা লোপ পাইতে থাকিবে।
যন্ত্র কী? যন্ত্র হইতেছে এমন একটি কৃত্রিম বস্তু, যাহা প্রকৃতির প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে প্রকৃতির সহিত পাল্লা দিবার প্রয়াস পায়। কিন্তু ইহা খুবই সুস্পষ্ট যে, প্রকৃতির সহিত যাহা পাল্লা দিতে চেষ্টা করিবে কিংবা যাহা প্রকৃতির সহিত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত হইবে, প্রকৃতি উহাকে ক্রমশঃ ধ্বংস করিয়া ফেলিবে। তদুপরি, মানুষ যতোই দিন দিন যান্ত্রিক হইয়া উঠিবে, প্রকৃতি ততই মানুষকে ধ্বংসের দিকে ঠেলিয়া দিবে। তাই বর্তমান প্রজন্মকে শারীরিকভাবে ক্রমশঃ দুর্বল বলিয়া প্রতীয়মান হইতেছে।
মানুষ তাহার সমস্যার মোকাবিলায় কিংবা চাহিদা মিটাইবার তাগিদে যন্ত্র তৈয়ার করিতেছে। চাহিদা কে তৈয়ার করিতেছে? প্রকৃতি করিতেছে। তাহা হইলে প্রশ্ন উত্থিত হইবে, সৃষ্টির পরিকল্পনা কী?
আমি আমার পিতৃভূমিতে আসিয়া, এ যাবত পৃথিবীর সবচাইতে আধ্যাত্মিক ও খ্যাতিমান গ্রন্থ কোরান নিয়া বেশ মনোযোগ সহকারে পড়াশুনা করিয়াছি। উহা পড়িয়া অনুধাবন করিলাম, ‘আসমাউল হুসনা’ কিংবা স্রষ্টার সুন্দর নাম অথবা গুণসমূহের মধ্যে ‘কামেল’ গুণটি স্রষ্টার মধ্যে আছে। অর্থাৎ স্রষ্টা পরিপূর্ণ; কামেল ছাড়া বাকী আটানব্বইটি গুণ মানুষের মধ্যে আছে। এতে অনুধাবন করা যায় মানুষ সব গুণাবলীর অধিকারী কিন্তু মানুষ পূর্ণ হইতে পারিবে না। মানুষ যতই পূর্ণতার দিকে যাইতে থাকিবে, ধ্বংসও ক্রমশঃ তাহার দিকে ধাবিয়া আসিবে।
আমি এইসব লইয়া ভাবিতে চাহি না। ভাবিতে চাহি না যন্ত্রকে লইয়া। আমি মাটির মানুষ। উদ্ভিদ যেমন ভূমি উদগীরণ করিয়া সবুজ হইয়া বাহির হয় আমিও তেমনি মাটি ভেদ করিয়া সবুজের ন্যায় মাথা উঁচাইবার চাই। আমি চাই নরম একটি জীবন, সরল একটি জীবন, যে জীবন মাটির ন্যায় মৌলিক।’
ঘটনার প্রায় দুই শ' বছর পরে যখন স্থানীয় জনপ্রিয় একটি আর্কাইভ থেকে খ্যাতিমান বিজ্ঞানী ও কথাসাহিত্যিক শওকত হোসেনের ডায়েরী উদ্ধার হলো, তখন বিজ্ঞানী মহলে বেশ সাড়া পড়ল এবং সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হলো শওকত সাহেবের ডায়েরীতে তাঁর গ্রামের যে বর্ণনা দেয়া আছে সে অনুসারে চতুর্মাত্রিকের বদলে ত্রিমাত্রিক একটি ভার্চুয়াল গ্রামের ভিডিও চিত্র তৈরি হবে এবং কয়েক মিনিটের সেই ভিডিও চিত্র ছোট শিশুদেরকে স্থানীয় বিজ্ঞানাগারে প্রদর্শিত করা হবে।
ত্রিমাত্রিক অ্যানিমেশন সফটওয়্যার ব্যবহার করে চলতি প্রজন্মের কম্পিউটার দ্বারা মাত্র কয়েক ঘন্টায় ভার্চুয়াল গ্রামের অ্যানিমেশন তৈরি হলো।
পরদিন বিকেলে স্থানীয় বিজ্ঞানাগারে সুপার প্রজেক্টরের সাহায্যে প্রদর্শনীর আয়োজন হলো। ছোট ছোট শিশুরা এলো। এদের প্রায় সবারই চোখে মাইনাস লেন্স বসানো। অনেকে শ্বাসকষ্টের রোগী, তাই শরীরের সাথে লাগোয়া ছোট সিলিন্ডারের সাহায্যে শ্বাস ফেলছে। অনেকেই বিকলাঙ্গ ও শারীরিক প্রতিবন্ধি, তাই এদের সাথেই রয়েছে ছোট বোতল ভর্তি ভিটামিন সিরাপ। আবার বাকশক্তিহীন অনেকের মস্তিষ্কের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে নিউরো রিডিং কম্পিউটার।
অপারেটর রোবট এসে প্রথমে হালকা নির্ধারিত লেকচার দিল। অতঃপর সময়মতো প্রজেক্টর চালু করলো। ছোট ছোট শিশুরা গ্রামের গল্পই কেবল শুনেছিলো । পর্দায় ভার্চুয়াল গ্রাম তারা হাঁ করে দেখতে লাগল। তারা দেখতে লাগল গাছ, ধানক্ষেত, খড়ের গাদা, বাঁশের সাঁকো, দেখতে লাগল গরুর পাল, ভেড়ার পাল, মুরগী আর হাঁসের ছানা, তারা দেখতে লাগল, আকাশের নীল আর নীল, বিকেলের টলটলে নদী আর সূর্যাস্ত, গহীন অরণ্যে ঘেরা সবুজ আর সবুজ, তারা দেখতে লাগল শওকত হোসেনের সেই রসূলপুর।
প্রদর্শনী শেষে অপারেটর রোবট ঘোষণা করলো শওকত সাহেব তাঁর ডায়েরীতে হাস্যকর একটি উদ্বৃতি দিয়েছিলেন তা হলো, মানুষ পূর্ণতা অর্জন করলেই ক্রমশঃ ধ্বংস হয়ে যাবে। মজার ব্যাপার হলো, আর কয়েকদিন পরেই, হয়তো আজই মানুষ চারটি মৌলিক বলকে একত্রীভূত করে মহাবিশ্বের উৎপত্তির কারণ জেনে যাবে। ঘোষণা শেষ হবার আগ মুহূর্তেই হঠাৎ দূরবর্তী কোনো স্থান থেকে প্রচন্ড শোঁ শোঁ আওয়াজ শোনা গেলো। সবাই হতবিহবল হয়ে আশেপাশে তাকালো কিন্তু ঠিক বুঝা গেলো না কোথা থেকে শব্দের উৎপত্তি। হঠাৎ সমস্ত পৃথিবী সবেগে দোলে উঠল। ক্রমেই ভয়ানকভাবে বাড়তে থাকে সে দোলুনি।
ত্রিমাত্রিক অ্যানিমেশন সফটওয়্যার ব্যবহার করে চলতি প্রজন্মের কম্পিউটার দ্বারা মাত্র কয়েক ঘন্টায় ভার্চুয়াল গ্রামের অ্যানিমেশন তৈরি হলো।
পরদিন বিকেলে স্থানীয় বিজ্ঞানাগারে সুপার প্রজেক্টরের সাহায্যে প্রদর্শনীর আয়োজন হলো। ছোট ছোট শিশুরা এলো। এদের প্রায় সবারই চোখে মাইনাস লেন্স বসানো। অনেকে শ্বাসকষ্টের রোগী, তাই শরীরের সাথে লাগোয়া ছোট সিলিন্ডারের সাহায্যে শ্বাস ফেলছে। অনেকেই বিকলাঙ্গ ও শারীরিক প্রতিবন্ধি, তাই এদের সাথেই রয়েছে ছোট বোতল ভর্তি ভিটামিন সিরাপ। আবার বাকশক্তিহীন অনেকের মস্তিষ্কের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে নিউরো রিডিং কম্পিউটার।
অপারেটর রোবট এসে প্রথমে হালকা নির্ধারিত লেকচার দিল। অতঃপর সময়মতো প্রজেক্টর চালু করলো। ছোট ছোট শিশুরা গ্রামের গল্পই কেবল শুনেছিলো । পর্দায় ভার্চুয়াল গ্রাম তারা হাঁ করে দেখতে লাগল। তারা দেখতে লাগল গাছ, ধানক্ষেত, খড়ের গাদা, বাঁশের সাঁকো, দেখতে লাগল গরুর পাল, ভেড়ার পাল, মুরগী আর হাঁসের ছানা, তারা দেখতে লাগল, আকাশের নীল আর নীল, বিকেলের টলটলে নদী আর সূর্যাস্ত, গহীন অরণ্যে ঘেরা সবুজ আর সবুজ, তারা দেখতে লাগল শওকত হোসেনের সেই রসূলপুর।
প্রদর্শনী শেষে অপারেটর রোবট ঘোষণা করলো শওকত সাহেব তাঁর ডায়েরীতে হাস্যকর একটি উদ্বৃতি দিয়েছিলেন তা হলো, মানুষ পূর্ণতা অর্জন করলেই ক্রমশঃ ধ্বংস হয়ে যাবে। মজার ব্যাপার হলো, আর কয়েকদিন পরেই, হয়তো আজই মানুষ চারটি মৌলিক বলকে একত্রীভূত করে মহাবিশ্বের উৎপত্তির কারণ জেনে যাবে। ঘোষণা শেষ হবার আগ মুহূর্তেই হঠাৎ দূরবর্তী কোনো স্থান থেকে প্রচন্ড শোঁ শোঁ আওয়াজ শোনা গেলো। সবাই হতবিহবল হয়ে আশেপাশে তাকালো কিন্তু ঠিক বুঝা গেলো না কোথা থেকে শব্দের উৎপত্তি। হঠাৎ সমস্ত পৃথিবী সবেগে দোলে উঠল। ক্রমেই ভয়ানকভাবে বাড়তে থাকে সে দোলুনি।
>> পথিক ১৮
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন