হিরন্ময় হিমাংশু
উৎসবের রঙ-এ তখন রঙিন ছিল পৃথিবী-তারই রস আস্বাদন করে আমি
তখন একা - এক সোনার সিংহদ্বার থেকে আর এক সোনার সিংহদ্বারে
পাশে বিষণ্ন কবিকে দেখে শুধালাম - কবি - কেমন আছ?
কবির উদাস দৃষ্টি তখন আমাকে নিয়ে গেল মেঘ রৌদ্রের আলোছায়ায়
বিষণ্নতার কালো মেঘ তখন ঝরেছিল শান্তির বর্ষাধারায়
তারপরও মনের মেঘ কাটেনি।
আবার কবিকে শুধালাম - কবি - কোথায় যাবে কোনে সে দূর
এবার কবি আমার আপাদমস্তক তার বিষণ্ন দৃষ্টিতে ধুয়ে দিয়ে
উদাস তাকালো দক্ষিণ দুয়ারে - তেমনি নির্বাক তেমনি নিথর থেকে
কবিকে নিথর দেখে আবার শুধালাম - কবি - তুমি আজ নিরুত্তর কেন?
কবি - তুমি আজ বিষণ্ন কেন?
কবি তেমনি নির্বাক থেকে শুধু চোখের পলক ফেলল।
চোখে বাধাহীন বেদনার অশ্রুধারায় তখন প্লাবিত পৃথিবী
তারপর অনেকটা সময় গেছে - অনেক দেনা-পাওনার হিসাব নিকাশে
আমারও হয়নি সময় কবিকে শুধাবার - সেই পরিচিত সোনার সিংহদ্বার
সেই পরিচিত পথে আবারও একদিন কবিকে দেখলাম
তখন তার কলম সচল ছিল - সুযোগ বুঝে শুধালাম - কবি - কেমন আছ?
কবির কলম থেমে গেল
কবিকে বিমর্ষ দেখে কাল মেঘের ছায়ায় ঢেকে গেল সমস্ত পৃথিবী
আবারও বিষণ্নতার উদাস দৃষ্টি আমাকে মেঘের মধ্যে আছড়ে ফেলল
তারপরও কবির কাছে জবাব মেলেনি
কবি তেমনি নিরুত্তাপ, তেমনি নিরুত্তর।
>> পথিক ১৮
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন