উদয়ন বড়ুয়া
এ ব্যাধি কখনো লুকোবার নয়, আকাশের কান্নার মতো।
আমি
দেখছি
তুমি এখন শুয়ে বরফজলে। একা একা ভেজাচ্ছো স্তন।
চিবুকে কাটছো যন্ত্রণা। ভাঙছো জলের শরীর। অর্থাৎ
‘ওয়াটার থেরাপি’। ওটা খারাপ কিছু নয়। নিতে পারো
কেনো না, মনের ঘুঙুর নৃত্যেরা প্রতি সেকেন্ডে যে ‘ব্রেকফেল’
করে তাদের বুঝানো উচিত অন্তত কিছু সমীক্ষা
এ ব্যাধি কখনো বুঝার নয়, মনুষ্যমনের মতো।
আমি
শুনেছি
তুমি উঁচু পাহাড়ের গায়ে রোদ মাখো। সাথে নাকি নিয়ে যাও
গুটিকয়েক ‘গোপন পত্র’। যেগুলো পাঠোদ্ধার করে তোমার ভেতর
জেগে ওঠে ‘আত্মহত্যার অধিকার’, প্রস্তুতি নাও এক্ষুণি নিজেকে
সঁপে দেবে শূন্যে। কিন্তু কী যেনো আর কে যেনো তোমাকে
অদৃশ্য জালে আটকে রাখে প্রতিবার। তুমি পারছো না। কিছুতেই
পারো না। কারণ তুমি জানো না দূরে এবং অদেখা হলেও
কোথাও কারো জন্যে অপেক্ষা করে কেউ কেউ, তাদের রাতজাগা
দীর্ঘশ্বাস তোমাকে তাই ছুঁতে দেয় না বহু আকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর কামুক ওষ্ঠ
এ ব্যাধি কখনো সারার নয়, ক্যান্সারের মতো।
তবুও
আমি
ভাবছি
একদিন তোমার দরোজায় গিয়ে দাঁড়াবো। হাতে মুঠোভর্তি করে
নিয়ে যাবো একগুচ্ছ ‘আত্মপ্রবঞ্চনা’। তারপর তোমাকে ডানদিকে
আর ‘প্রবঞ্চনা’দের বামদিকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে আমি দূরে
সরে যাবো। এবং আমি নিশ্চিত এই দ্বৈরথের মীমাংসা কখনো
সম্ভব নয় কারণ তুমি কখনোই জানতে না নিজের ভেতরের মানুষটিকে
ভালবাসার কৌশল।
>> পথিক ১৮
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন