উলঙ্গদের স্বর্গবাস
অনিরুদ্ধ সাইমূম
নিজেরটা সযতনে রেখেঅন্যেরটা কেড়ে খাওয়ার অভ্যাস
ওদের বরাবরের
সেটা হজম হোক আর নাই হোক।
পরের কাঁধে পা রেখে আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন
ওদের অনেক দিনের।
নিজের গাল ছেড়ে
পরের গালের মাছি তাড়াতেই
ওদের ব্যস্ততা বেশি।
ওরা আগাগোড়া অন্ধ
পুরোটাই বধির, জন্ম থেকেই উলঙ্গ !
লিপ্সায় লটকে থাকা লকলকে জিভ থেকে
টস টস করে এসিড ঝরে পরে সর্বক্ষণ।
বীভৎস চেহারা নিয়েই তারা হাসে
নর্দমা থেকে উঠে আসে মনুষ্য সমাজে।
শিকড় গেঁড়ে বসে
এক সময় লিক লিক করে বাড়তে থাকে
ওদের বংশধর।
খায়, দায়, বড় হয়
বড় হয়ে এরাও হাসে।
এদের শিকড় বিস্তৃত হয় মাইলের পর মাইল।
এদের কেউ ভালোবাসুক আর নাই বাসুক
তাতে কিচ্ছু যায় আসে না তাদের।
তাদের ধারণা তারা মৃত্যুঞ্জয় ,
ঘুণপোকা কোনোদিনও কাটতে পারবে না
তাদের সাধের পালঙ্ক।
দিন যায় দিন আসে...
ওদের শ্যেনদৃষ্টিতে তবুও পলক পড়ে না
ওরা হাসে, বারবার হাসে
কারণ, সব তো ওদেরই জন্য
ওদের পতন নেই।
ওরা এতটাই সংকীর্ণ
যে ওদের রাজপথের প্রয়োজন নেই
কোনো এক সঙ্কীর্ণ গলি পথে
তারা ঠিকই পৌঁছে যায় সপ্ত স্বর্গে।
অথচ আমরা...
অবলীলায় মুখটা হাঁ করে
চকচকে নোনা জলে পলক না ফেলেই চেয়ে থাকি
ওদের স্বর্গারোহনের সিঁড়ির দিকে।
তাদের নির্ভয়ে কাটে প্রতিটিক্ষণ
তাই সেখান থেকেও
তারা হাত নেড়ে নেড়ে হাসে।
আর আমরা?
বাম হাতে বুড়ো আঙুল
মুখে পুড়ে চুষতে চুষতে
মর্ত্য ধরাধামে পা কেলিয়ে বসে
ওদের স্বাগত জানাই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন