অন্ধ
মূল : জালালুদ্দীন রুমী ।। ভাষা বদল : আহমদ মারুফ
জননী-গর্ভের কোনো ভ্রুণকে যদি বলা হয়, বাছা
বাইরে বিরাজমান সুশৃঙ্খল দুনিয়া রয়েছে-
প্রশস্ত বিস্তৃত এক চমৎকার জমিন সেখানে,
হাজার ফূর্তির বস্তু-সংখ্যাহীন খাদ্যোপকরণে
পরিপূর্ণ সে জগৎ-সমুচ্চ ও শস্যক্ষেতসহ
মনোহর পৃথিবীতে, আদিগন্তব্যাপী নীলাকাশ-
রৌদ্র ও অতীত এর স্বাদ-গন্ধ। - অতএব, হে ভ্রুণপুঙ্গব,
ব্যথা আর অশুচির অন্ধকার এই কারাগারে,
মাতৃরক্ত পান করে বন্দি হয়ে আছো কেনো তুমি?
ভ্রুণ তার অবিশ্বাস নিয়ে মগ্ন দৃষ্টি ফেরায় তখনি
কেননা কল্পনাশক্তি থাকা তার স্বাভাবিক নয়।
.......................................................................................................
[জালালুদ্দীন রুমী (১২০৭-১২৭৩) খোরাসানের অন্তর্গত বলখ (বর্তমানে আফগানিস্তানে) শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ইউরোপের রেনেসাঁ তথা সাংস্কৃতিক জাগরণের শেষ দুই যুগে পাশ্চাত্য দর্শন ও সাহিত্যে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছিলেন মহাকবি জালালুদ্দীন রুমী। ইউরোপ এবং আমেরিকায় রুমী এখন তরুণ মনে সৃষ্টি করেছেন এক নব চিন্তাবিপ্লব। রুমীর অমরকাব্য ফারসি গ্রন্থ ‘মসনবীয়ে রূমী’ থেকে কাব্যাংশটুকু ভাষান্তর করা হয়েছে। -অনুবাদক]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন