হাত পাতি পতঙ্গের কাছে
সাঈদ চৌধুরী টিপু
প্রতিদিনই সূর্য ওঠে। পূবের আকাশ রাঙিয়ে তা ছড়িয়ে পড়ে সবখানে। যেখানেই খোলা জানালা-অবারিত আলো ঢুকে পড়ে সেখানে। তবে সে আলো হৃদয়ের গহীনে টেনে নিজেকে রাঙাতে পারি আমরা ক’ জন? আলোকে নিজের করে নিতে পারি না বলেই হয়তো এতো আলোর মাঝেও আমাদের চারপাশে ঘিরে থাকা আঁধার কাটে না।
২.
অফুরান আলোর মাঝে নিজেরা যদি চোখ বুজে থাকি তবে সূর্যের দোষ কোথায়। নিজেকে পুড়িয়ে সূর্যের আলো বিতরণও তাই আমাদের জন্য বৃথা হয়ে যায়। আলো ছাড়া আমাদের চলেও না। তবুও আলোর প্রতি কেনো আমাদের এতো অনাগ্রহ! কেনো আমরা নিজেরা আলো হতে চাই না! কেনো আমাদের আলোয় চারপাশ আলোময় করে তুলতে পারি না?
৩.
সৃষ্টির সেরা হয়েও আমরা প্রাণভরে আলোকে ভালোবাসতে পারি না। অথচ ক্ষুদ্র পতঙ্গেরও আলোর প্রতি কী অপার ভালোবাসা। নিজেকে পুড়িয়ে হলেও তারা আলো পেতে চায়, আলো হতে চায়। আলোর প্রতি পতঙ্গের এমন ভালোবাসা দেখে হিংসে হয়। আহা! যদি পতঙ্গ হতে পেতাম। আলোকে প্রাণভরে ভালোবাসতে পারতাম! একবার না হয় পতঙ্গের কাছেই হাত পাতি। আলোর প্রতি ভালোবাসা ধার নিয়ে আলো হই, আলোকিত করি চারপাশ।
৪.
ইতিহাস স্বাক্ষী, আমরা আলোকিত হলে সে আলোয় সূর্যও হার মানে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন