ভূতো কিংবা হৃত তৃষ্ণা
জিল্লুর রাহমান জয়
কানামাছি ভোঁ ভোঁ আর সাপলুডু ভূতুড়েরাতখুনি সরেছে বটে, অথচ সারেনি মোটে
বউ বউ খেলার খায়েশ
উদাস দুপুর বেলা ঝরোঝরো বৃষ্টিতে
তখনও চাপতো ঘাড়ে যক্ষের ভূত এসে
হিমালয় কৈলাসগিরি ঘুরিনি-ফিরিনি আমি
অথচ ঘুরে ও ফিরে সেই তো খেলি কানামাছি, বউচি।
তারা দূরে নিয়ে গেছে কেউ, কেউ কেউ হাত ধরে-টরে
দেখিয়েছে পথ, অথবা আমিও কাউকে বা...
কারো কারো আঁচলের গিঁটে আমারই গিয়েছে এঁটে
এতগুলো অবসর অবসন্ন দুপুর
গোঁ ধরা গোঁয়ার্তুমিতে কখন কী করেছি না-কি
ওসবে আজও মনে খিল ধরে হাসি পায়,
কখনও জানলা ধরে বালিশে মুখটি গুঁজে
বিস্তর জলধারা গড়িয়েছি একাধারে;
কারো কারো জন্য তো এইমত দিত মনোনাড়া
ওইসব পুরনো দিন আজকাল দ্বারে এসে ঘুরপাক খায়,
তবু দরজা দেখেনি ঠুকে- 'ওখানে কে আছে গো,
কে আছ ভিতরে?' ডেকে গেলে অন্তত একবার
ঢেকে তো দেব না কোনও ঐন্দ্রজালিকে!
এই একটু পলকে দেখে তৃপ্তির সুখে ভেসে
আয়ুষ্মান হই আরও বড়জোর দুটো দিন
এ নেশা ঘুচালে তবে নিশ্চিত ছেড়ে যাবে বুকে ব্যথা চিনচিন
বউ বউ ক্রীড়নক; ভূতো কিংবা হৃত তৃষ্ণা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন