কাতকুঁজো বীর্যবল বোলতা সহবাস
মোহাম্মদ আমজাদ আলী
গাছ
সীম গাছ
নিম গাছ তাল গাছ
ডাল গাছ লাউ গাছ ঝাউ গাছ
কুলগাছ ফুল গাছ গুল গাছ মূলা গাছ কলা
গাছ গাছ গাছ পাতা পাতা ঢেংপাতা শ্যান পাতা ধান পাতা
মান পাতা চিরতা ত্রিফলা আমলা বহেড়া হরিতকী তিরিতিকি
গাছ গাছ পাতা পাতা নাচে নাচে ঢেউ নাচে ধেই নাচে তাক্ধিনাধিন
আর বিপত্তির দেয়াল ভেঙে আবারো ফিরে যাবার প্রবল তৃষ্ণা সেই গাছ
বৃক্ষের নিচে যার সবটুকু চিহ্নিত স্মৃতিস্বপ্ন অতীতেই গেছে মুছে আপন দৃষ্টি
ছিঁড়ে ছুটে যাওয়া চোখের পলক মহাকাশ জাপটে ধরে হাঁটা পথে শক্তির উৎস
সূর্যের সাথে কিছুক্ষণ অন্তে কোত্থেকে উড়ে আসা গাঙচিলের ধবল বীর্যবর
অর্চনাকাতর প্রজ্ঞার গভীরে গোষ পাখিদের বিনোদবুদ্ধিতে মুহূর্তে সঙ্গমরত
হাঁসা হাঁসির গম্ভীর সুখ ভোগের চুলচেরা বিচার বিশ্লে ষণ আত্মস্থ অন্তে কাকের
সঙ্গীতে এমন জলজ্যান্ত বিশুদ্ধ সহবাসের শখ-সৌন্দর্যই আলাদা রকমের
নির্ভাবনায় ভুলিয়ে দেয় আকাশ স্বপ্ন দেখার ভয় এমন সময় কার গোলায়
কার ধান কার পেটে কার বীর্যের চিরন্তন পাঁচন জীবন বিচ্ছিন্ন যেনো এই মেঘলা
অমাচ্ছন্ন রাত হেলতে হেলতে গভীর সমুদ্রে নিভে গেলে নিভু আলোর
মিছিল জেগে থাকে অথৈ থৈ থৈ ঘুর্ণি জীবন প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ কীর্তি প্রেম
অন্তরাত্মায় যার চিরন্তন বসবাস একতারা সুরেলা বাউল ভেসে যাওয়া দূর থেকে
আনন্দ বেদনার রঙ্গন সভ্যতা পরস্পরের রক্ত চিবিয়ে কৃষকের ঝাপসা
দু’ চোখ খুঁজেই পায় না কৃষাণীর তন্বি-তলপেট নরম গরম স্তনযুগল যন্ত্রণায়
কুঁজো লিঙ্গ হেলে আসে রাত-বাতের পেট স্মৃতি শক্তি শিশির-দুর্বার স্নেহ গন্ধ
স্পর্শে চোখের ভূঁড়িনাচা স্পর্ধার পালাবহর জল কেটে কেটে বিরান থেকে বিস্ময় আলো টুকরোরা
দীর্ঘশ্বাসে গাণিতিক গুহ্যগর্তে চৈতী হওয়ার সাথে দ্বন্দ্ব মাতালে মেধার জরায়ু জে্যঁওঠা বাঁশের
মতো জটযুদ্ধে পৃথিবী ডুবে গেলে এক ঠায় দাঁড়ানো পেট আর ক্ষুধা দীর্ঘস্বপ্নে অশ্রুর হাড়ভাঙা
শ্রম কাত হতে হতে বিস্ফারিত ককটেল চোখ উদ্বেলিত কামনার হরেক রমণে বিশ্বাস নিঃশ্বাসে
ওজনের বাটখারা ডুবিয়ে দিলে ভরতদের ক্ষুধা আর্তি ঘাম রক্ত মৃত্যু লাশ গলিত দুর্গন্ধ
কুকুর শেয়াল শকুনের অধিকার আর রাহেলাদের ধর্ষিতা পতিতা শোনিত বিক্ষত
ভয়ঙ্কর ভাঙচুর রক্তহাত মেদমগজ যোগাযোগ যোগ্যতা দক্ষতা উন্নয়ন অগ্রগতি
ইত্যাদি প্রভৃতি আর্তি কাতর শশ্মান মিনতি দগদগ চিতার আর আত্মহুতি কবরের
মাটি মাথার ছাদে পেরেক রোদ্দুর আশপাশ ফুটন্ত বৃক্ষের শব্দ কখনো শুকনো শালিকের
ঘ্রাণ দাহমান পাখিদের আর্ত বেদনায় মোহময় আণবিকে দিকে দিকে বুকের
দিব্যদিশা পতঙ্গের দীর্ঘবহরে কে ভাসায় কার অশ্রু ভেলা ভঙ্গুর সভ্যতার ভেলকিজ্ঞানে
কানের পিকক চিন্তা বীর্যের নতজানু দৌড় ফসিল কামনার কর্কশ করতালি
সুখকর সঙ্গমে বিষকাঠুলার সহায়তা সামনে হাহাকারের হর্ষধ্বনি
সবার অলক্ষ্যে ভৌতিক অন্ধকার বিজ্ঞতার বাহারে রঙিন
অন্তরাত্মায় ঘোর ক্লান্ত নিসর্গ পৃষ্ঠ প্রদর্শনের অবর্ণ
সমন্বয় সিঁড়ি টুকরো টুকরো মৃত্যু ক্ষোভে ভ্রষ্টা পৃথিবী
আমার অন্তর জুড়ে উদ্যত লাশের কিরিচ খঞ্জর
উচ্ছৃঙ্খখল প্রবাহের মতো আক্রান্ত ক্রোধভরা
শুয়োরেরা কীভাবে তাড়িত হবে
কিংবা কে যাবে দানব দূর্গে উদ্বৃত্ত সাহসে
চোদ্দ পুরুষের ভিটে আর
পৈত্রিক প্রাণ কাফনের গভীরে ভাঁজ।
সীম গাছ
নিম গাছ তাল গাছ
ডাল গাছ লাউ গাছ ঝাউ গাছ
কুলগাছ ফুল গাছ গুল গাছ মূলা গাছ কলা
গাছ গাছ গাছ পাতা পাতা ঢেংপাতা শ্যান পাতা ধান পাতা
মান পাতা চিরতা ত্রিফলা আমলা বহেড়া হরিতকী তিরিতিকি
গাছ গাছ পাতা পাতা নাচে নাচে ঢেউ নাচে ধেই নাচে তাক্ধিনাধিন
আর বিপত্তির দেয়াল ভেঙে আবারো ফিরে যাবার প্রবল তৃষ্ণা সেই গাছ
বৃক্ষের নিচে যার সবটুকু চিহ্নিত স্মৃতিস্বপ্ন অতীতেই গেছে মুছে আপন দৃষ্টি
ছিঁড়ে ছুটে যাওয়া চোখের পলক মহাকাশ জাপটে ধরে হাঁটা পথে শক্তির উৎস
সূর্যের সাথে কিছুক্ষণ অন্তে কোত্থেকে উড়ে আসা গাঙচিলের ধবল বীর্যবর
অর্চনাকাতর প্রজ্ঞার গভীরে গোষ পাখিদের বিনোদবুদ্ধিতে মুহূর্তে সঙ্গমরত
হাঁসা হাঁসির গম্ভীর সুখ ভোগের চুলচেরা বিচার বিশ্লে ষণ আত্মস্থ অন্তে কাকের
সঙ্গীতে এমন জলজ্যান্ত বিশুদ্ধ সহবাসের শখ-সৌন্দর্যই আলাদা রকমের
নির্ভাবনায় ভুলিয়ে দেয় আকাশ স্বপ্ন দেখার ভয় এমন সময় কার গোলায়
কার ধান কার পেটে কার বীর্যের চিরন্তন পাঁচন জীবন বিচ্ছিন্ন যেনো এই মেঘলা
অমাচ্ছন্ন রাত হেলতে হেলতে গভীর সমুদ্রে নিভে গেলে নিভু আলোর
মিছিল জেগে থাকে অথৈ থৈ থৈ ঘুর্ণি জীবন প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ কীর্তি প্রেম
অন্তরাত্মায় যার চিরন্তন বসবাস একতারা সুরেলা বাউল ভেসে যাওয়া দূর থেকে
আনন্দ বেদনার রঙ্গন সভ্যতা পরস্পরের রক্ত চিবিয়ে কৃষকের ঝাপসা
দু’ চোখ খুঁজেই পায় না কৃষাণীর তন্বি-তলপেট নরম গরম স্তনযুগল যন্ত্রণায়
কুঁজো লিঙ্গ হেলে আসে রাত-বাতের পেট স্মৃতি শক্তি শিশির-দুর্বার স্নেহ গন্ধ
স্পর্শে চোখের ভূঁড়িনাচা স্পর্ধার পালাবহর জল কেটে কেটে বিরান থেকে বিস্ময় আলো টুকরোরা
দীর্ঘশ্বাসে গাণিতিক গুহ্যগর্তে চৈতী হওয়ার সাথে দ্বন্দ্ব মাতালে মেধার জরায়ু জে্যঁওঠা বাঁশের
মতো জটযুদ্ধে পৃথিবী ডুবে গেলে এক ঠায় দাঁড়ানো পেট আর ক্ষুধা দীর্ঘস্বপ্নে অশ্রুর হাড়ভাঙা
শ্রম কাত হতে হতে বিস্ফারিত ককটেল চোখ উদ্বেলিত কামনার হরেক রমণে বিশ্বাস নিঃশ্বাসে
ওজনের বাটখারা ডুবিয়ে দিলে ভরতদের ক্ষুধা আর্তি ঘাম রক্ত মৃত্যু লাশ গলিত দুর্গন্ধ
কুকুর শেয়াল শকুনের অধিকার আর রাহেলাদের ধর্ষিতা পতিতা শোনিত বিক্ষত
ভয়ঙ্কর ভাঙচুর রক্তহাত মেদমগজ যোগাযোগ যোগ্যতা দক্ষতা উন্নয়ন অগ্রগতি
ইত্যাদি প্রভৃতি আর্তি কাতর শশ্মান মিনতি দগদগ চিতার আর আত্মহুতি কবরের
মাটি মাথার ছাদে পেরেক রোদ্দুর আশপাশ ফুটন্ত বৃক্ষের শব্দ কখনো শুকনো শালিকের
ঘ্রাণ দাহমান পাখিদের আর্ত বেদনায় মোহময় আণবিকে দিকে দিকে বুকের
দিব্যদিশা পতঙ্গের দীর্ঘবহরে কে ভাসায় কার অশ্রু ভেলা ভঙ্গুর সভ্যতার ভেলকিজ্ঞানে
কানের পিকক চিন্তা বীর্যের নতজানু দৌড় ফসিল কামনার কর্কশ করতালি
সুখকর সঙ্গমে বিষকাঠুলার সহায়তা সামনে হাহাকারের হর্ষধ্বনি
সবার অলক্ষ্যে ভৌতিক অন্ধকার বিজ্ঞতার বাহারে রঙিন
অন্তরাত্মায় ঘোর ক্লান্ত নিসর্গ পৃষ্ঠ প্রদর্শনের অবর্ণ
সমন্বয় সিঁড়ি টুকরো টুকরো মৃত্যু ক্ষোভে ভ্রষ্টা পৃথিবী
আমার অন্তর জুড়ে উদ্যত লাশের কিরিচ খঞ্জর
উচ্ছৃঙ্খখল প্রবাহের মতো আক্রান্ত ক্রোধভরা
শুয়োরেরা কীভাবে তাড়িত হবে
কিংবা কে যাবে দানব দূর্গে উদ্বৃত্ত সাহসে
চোদ্দ পুরুষের ভিটে আর
পৈত্রিক প্রাণ কাফনের গভীরে ভাঁজ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন